★পায়ে পায়ে এক'শ★ "ইতিহাসের গহ্বরে মেদিনীপুরের পুরোনো জলট্যাঙ্ক"

 ★পায়ে পায়ে এক'শ

 "ইতিহাসের গহ্বরে মেদিনীপুরের পুরোনো জলট্যাঙ্ক"




মেদিনীপুর। এই নামটিই একটি জলজ্যান্ত ইতিহাস। এই শহর নিয়ে না জানি কত যে ইতিহাস আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার ইয়ত্তা নেই। কেউ বলেন মেদিনীকরের নামানুসারেই এই জেলা তথা শহরের নামকরণ এই রূপ। আবার কারুর কারুর মতে মেদিনীমল্ল-র নাম অনুসারে শহরের নাম মেদিনীপুর।  কোনও ঐতিহাসিকের মতে- মধ্য কলিঙ্গের নাম ছিল মিধুনপুর পরে তা গোপীজন প্রাণবল্লভের পদে মেদিনীপুরে রূপ নেয়। কেউ কেউ দেবী মেদিনীমাতার মূর্তি আবিস্কার ও তার নামানুসারেই এই শহরের নাম ঐরূপ ইত্যাদি ইত্যাদি...

      ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিকের মতে জনৈক চেরো রাজ মেদিনী রাই-র এক সময় আধিপত্য ছিল এই অঞ্চলে, এবং তাঁরই নামানুসারে এই নাম।

        তবে যা ইতিহাস বা নথী আমাদের মেদিনীপুরের থাক সবটুকু নিয়েই মেদিনীপুর। ১৭৮৩ খ্রীঃ ২২ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর শহরকে জেলা শহর হিসেবে ঘোষনা করা হয় এবং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোং -র দেওয়ানি লাভ করার প্রায় ১০০ বছর পর মেদিনীপুর শহরে ১৮৬৫ খ্রীঃ গঠন হয় পৌরসভা। যদিও আইন-ই- আকবরীতে সরকার জলেশ্বরের একটি বড় জায়গা বলে উল্লিখিত আছে মেদিনীপুর, সম্ভবত তখন এর চেহারা ছিল সাদামাটা  একটি গঞ্জের মত।

     কিন্তু দুঃখের বিষয়- "১৮৬৫ সালে তৈরি এই পুরসভা এ বার দেড়শো বছরে পা দিল। অথচ পুরসভার জন্মলগ্নের ইতিহাস পর্যন্ত নেই! যেটুকু নথি রয়েছে তা ১৯১৮ সাল থেকে। তার আগের ধারাবাহিক ইতিহাস গ্রথিত করার তেমন উদ্যোগ কখনই দেখা যায়নি। টুকরো টুকরো ছড়িয়ে থাকা যেটুকু ইতিহাস পাওয়া যায় তা ওই স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বেরই। কিন্তু তার আগে, বিশেষ করে শহরের জন্মলগ্নের ইতিহাস অজানাই থেকে গিয়েছে।"(আনন্দবাজার পত্রিকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)

     প্রকৃতপক্ষে আধুনিক মেদিনীপুর জেলা ও শহর গড়ে তুলেছে ইংরাজেরা। সত্য সর্বদা সত্যই তা সে যতই রূঢ় হোক। এই যেমন ধরুন- মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত বড় বাজার, যা  বাণিজ্যের বড় কেন্দ্র হিসেবেই সে সময় বিবেচিত হত, সেটি তৈরি  হয় ১৭৬৩ সালে। শুধু তাই নয় কর্নেলগোলায় অবস্থিত দুর্গটি তৈরি করে ইংরেজেরা।(অনেকের মত ভিন্ন, রাজা মেদিনীকরের হাতে তৈরি এই দুর্গ মোগল সম্রাটদের মাধ্যমে হাত বদল হয়ে ইংরেজদের দখলে যায়, যা পরবর্তী কালে সংস্কার করা হয়) বার্ডেট সাহেব ছিলেন তার রেসিডেন্ট। কয়েক বছর পরে এক রেজিমেন্ট সিপাহি বা সৈন্য এখানে মোতায়েন করা হয়। ফলে গড়ে ওঠে সিপাহি-বাজার বা সিপাই বাজার। ছোট বাজার যা এক সময় বিবি বাজার নামেও পরিচিত ছিল তদানিন্তন কালে, সেই ছোট বাজার গড়ে উঠেছিল ১৭৬৬ সালে। রেসিডেন্ট ছিলেন গ্রাহাম সাহেব। মিসেস গ্রাহামকে সম্মান জানানোর জন্য এই এলাকাটির নাম হয় বিবি বাজার। বর্তমানে বিবিগঞ্জ নামে একটি এলাকার নাম আজও প্রচলিত, সেই বিবি-বাজারই বিবিগঞ্জ কি না বলতে পারা দুরূহ। পাটনা বাজার পত্তন করেছিলেন ভ্যানসিটার্ট সাহেব (১৭৬৮)। কর্নেলগোলা, করপোরাল বাজার(যা বর্তমানে নামের বিকৃতি হয়ে রূপ নিয়েছে খাপ্রেল বাজার) কেরাণিটোলা প্রভৃতি নাম থেকেই বোঝা যায় যে এরা সবই ইংরাজ শাসনের স্মৃতিবহন করে চলেছে।


             এছাড়াও শহরটির একাধিক এলাকার নামের সাথে জড়িয়ে আছে 'গঞ্জ' শব্দটি। যেমন— সুজাগঞ্জ, নজরগঞ্জ, অলিগঞ্জ, বিবিগঞ্জ প্রভৃতি। আবার বহু স্থানের নামের শেষে রয়েছে বাজার শব্দটিও। একটা শহরের মধ্যে এতগুলি বাজার নামের এলাকা সচরাচর দেখা যায় না। 


সিপাই বাজার বা (খাপ্রেল) কর্পোরেল বাজার ছাড়াও রাজাবাজার, কোতোয়ালি বাজার, ছোটবাজার, বড়বাজার, সঙ্গতবাজার, পাটনা বাজার, (মিনা)মিঞাবাজার, মির্জাবাজার, সাহাভড়ং বাজার, স্কুলবাজার। সব শেষে নতুন বাজার। আবার স্টেশনের কাছে গেটবাজার। প্রতিটি বাজার এলাকার নামের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে স্থানিক ইতিহাস। এছাড়াও রয়েছে বহু 'চক'। সে সব নিয়ে আলাদা ভাবে কোনও এক সময় আলোচনা করা যাবে নচেৎ মূল লেখাটি দীর্ঘ হলে পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি হতে পারে।

         মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি স্থাপিত হয়েছিল কোম্পানীর দেওয়ানি লাভের একশো বছর পরে। 



   আর ১৯২৪খ্রীঃ নির্মিত হয় শহরের প্রথম জলাধারটি। যা আমরা আজও পুরোনো জলট্যাঙ্ক নামেই জেনে এসেছি। এই জলাধারটির চারদিকেই রাস্তা, এমনকি প্রায় ওপরেও। এর দক্ষিন দিকে গা ঘেঁসে বর্তমানে ফ্লাই ওভার, উত্তর-পশ্চিমের অনতি দূরে রেল স্টেশন, পূর্বে 'কার্ল মার্কস' মূর্তির নির্দেশিত আঙুল বরাবর রাস্তা যা কেরানীতলাতে গিয়ে মিশেছে এবং পশ্চিমে আড়াআড়ি ভাবে শুয়ে আছে দক্ষিন পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা খড়্গপুর ডিভিশনের রেল লাইন, যার ওপারে রাঙামাটি। 



     যদিও এই জলাধারের রূপকার যিনি ছিলেন তিনি আর কেউ নন রাজা নরেন্দ্রলাল খাঁন মহাশয়। তাই তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই ১৯২৪ খ্রীঃ এটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে জলাধারটির নামকরণ করা হয় রাজা নরেন্দ্রলাল খাঁন-স্মৃতির উদ্দেশ্যেই। তিনি নিজেও ১৯১৩ সাল থেকে মেদিনীপুর পৌরসভার কমিশনারও ছিলেন। এই সময় শহরের বিপুল জলকষ্ট উপলব্ধি করে তা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করেন এবং শহর জুড়ে জল সরবরাহের জন্য তৎকালীন সময়ে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেন। তৎকালীন সময়ে দশ গ্রাম সোনার বাজার দর ছিল প্রায় ১৯০ টাকা। ১৯২১ খ্রীঃ তিনি গত হওয়ার পর এই জলাধারটি নির্মিত হয়। সে সময় পৌরসভার চেয়্যারম্যান ছিলেন বাবু উপেন্দ্রনাথ মাইতি এবং মেদিনীপুর জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়্যারম্যান ছিলেন বাবু রমেশচন্দ্র মিত্র মহাশয়। এই জলাধারটি প্রস্তুত করতে শুধু জেলার মানুষ নয় তার বাইরেও বহু সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ এই মহতি যজ্ঞে অর্থ প্রদান করে অংশ নেন। এই জলাধার নির্মাণের জন্য বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ বিজয়চাঁদ মহতাপ, ময়ূরভঞ্জের মহারাজ পূর্ণচন্দ্ৰ ভঞ্জ, মহিষাদলের রাজা সতীপ্রসাদ গর্গ, নাড়াজোলের বিধান পরিষদ সদস্য দেবেন্দ্রলাল খান, মেদিনীপুর পুরসভার চেয়্যারম্যান বাবু উপেন্দ্রনাথ মাইতি, মেদিনীপুর জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়্যারম্যান বাবু রমেশচন্দ্র মিত্র, বিধান পরিষদ সদস্য বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সহ এই রকম মোট ২৮জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাওয়া যায় নির্মাণ ফলকটিতেই। 



         

            পৌরসভার চেয়্যারম্যান বাবু উপেন্দ্রনাথ মাইতি কেরানিতলা থেকে স্টেশন যাওয়ার পথে গেটবাজার সংলগ্ন এই জায়গাটিকেই নির্বাচন করেন কারণ এই স্থানটি ছিল মেদিনীপুর শহরের  উচ্চতম স্থান। গম্বুজাকৃতির গোলাকার চুন সুর্কির দেওয়াল দিয়ে তার ওপরে জলাধারটি নির্মিত। এর পুরোটাই ঝামা ইঁট দিয়ে তৈরি। বাইরের দেওয়ালে অর্ধ গোলাকৃতি জানালা যুক্ত। ভেতরে কংক্রিটের ঢালাই ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো নির্মাণটিতে কোনও পিলারের ব্যবহার নেই। মাঝখানে ঝামা ইঁট দিয়ে সুপ্রসস্ত নলাকৃতির জলাধার। বাইরের অংশে তাকে ঘিরে আছে প্রাচীন দেউলের মত প্রায় তিন ফুট চওড়া ইটের দেওয়াল। সম্পূর্ণ নির্মানটির উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। তার ওপরে মূল জলাধারটি। কেন্দ্র থেকে বাইরের দেওয়াল পর্যন্ত ওপরে চারদিকে অর্ধচন্দ্রাকৃতি বিম্ দিয়ে সংযুক্ত করা আছে এই বিশাল ট্যাঙ্কটি। বাইরের দেওয়ালে রয়েছে ১২টি জানালা। সবচেয়ে আশ্চর্যের এর কোথাও কোনও লোহার ব্যবহার নেই। শুধু মাত্র ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য মাঝ বরাবর একটি লোহার সিঁড়ি যা প্রথম থেকেই কর্মচারীরা ব্যবহার করে আসছেন।

         রাজা নরেন্দ্রলাল খাঁন মেদিনীপুর শহরের জল কষ্ট যে প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন তা নয় তাঁর পূর্বেও বহু মানুষ এই সমস্যার দূরীকরণের জন্য নানান পুস্করিণী, বাঁধ ও কূপের খনন করিয়ে ছিলেন বৈকি। কিন্তু উত্তরোত্তর শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা জন-মানুষের কাছে যথেষ্টসংখ্যক নয় বলেই মনে হত। সে সময় শহরের জনসংখ্যা ছিল কম-বেশি দশ হাজার। কয়েকটি পুরোনো পুষ্করিণীর মধ্যে যেমন- চক্রব্রর্তী, মণ্ডল, মাইতি, পিড়ি,মল্লিক, দত্ত, পাহাড়ী প্রভৃতি পরিবার তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য পুকুর খনন করিয়েছিলেন। সে সব পুস্করিণীগুলির নাম থেকেই বোঝা যায়। প্রায় সবার সাথেই পদবি যুক্ত। যেমন- মল্লিকপুকুর, পিড়িপুকুর, চক্রবর্তীপুকুর প্রভৃতি। তখন যেসব পুকুরের উপর বহু মানুষ নির্ভরশীল ছিলেন সেগুলি হল পুরোনো জেলখানার কাছে কেল্লাপুকুর, হবিবপুরে কালীপুকুর, তালপুকুর, সেখপুরায় চ্যালকানা পুকুর, মিঞাবাজারে তালপুকুর, মতিঝিল, কেরানিতলায় বাইজিপুকুর প্রভৃতি। এছাড়াও আছে জজ পুকুর, জেল পুকুর, সাহেব পুকুর, রাজার পুকুর, শুকনো পুকুর প্রভৃতি। চৌধুরি পুকুর ও পচা পুকুর নামে অনেকগুলি পুকুর আছে। শহরের বৃহত্তম জলাশয়টি 'নবীনাবাগের লালদিঘি' নাড়াজোলের রাজাদের অর্থাৎ রাজা মহেন্দ্রলাল খাঁনের কীর্তি বলেই মনে করা হয়। এই পুকুরটি প্রায় ৩৬ বিঘা জায়গার উপর অবস্থিত। দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয়টি বলরামপুরের জমিদারেরর কীর্তি যা বক্সীবাজারের মুকুন্দ সায়র নামে পরিচিত। আরও একটি দিঘির কথা উল্লেখ না করলেই নয় যা আবাস ও তোলাপাড়ার মাঝখানে অবস্থিত। রাজার দিঘি। সম্ভবত এই দিঘি কর্ণগড়ের রাজপরিবারের কীর্তি। কারণ তার অনতিদূরেই আবাস গড়ের নিশান পাওয়া যায়।


        কয়েকটি প্রাচীন কূপ বা কুঁয়োর কথা না বললেই নয়। বিশেষতঃ গোলকুঁয়ার চকের ঠিক মাঝখানের যে কুঁয়োটিও বহু পুরোনো। এছাড়াও রয়েছে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে ফকির কুঁয়ো। তবে এই সব কুঁয়োর ইতিহাসকে ছাপিয়ে যায় সিপাই বাজারের কাছে আদিল মসজিদের কুঁয়োটি। তার গভীরতা ও প্রাচীনত্ব নিয়ে নানান মিথও শোনা যায়। 

              যাক সে সব কথা। আবার ফিরে আসি পুরোনো জলট্যাঙ্কের ইতিবৃত্তে। ট্যাঙ্ক তো তৈরি হল কিন্তু মূল প্রশ্ন তখনও বাকি- জল উঠবে কি ভাবে? পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দিতে পাম্প বসানোর ভাবনাতেই নির্ভর করতে হল তাই রাঙামাটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কংসাবতীর তীরে নির্মিত হল পাম্প হাউস। বসানো হল দুটি পাম্প। কিন্ত সে পাম্প তো বিদ্যুৎ চালিত। আর সে সময় বিদ্যুৎ এরকম একটি গঞ্জভূমে কল্পনাতীত। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী চেষ্টা থাকলেই রাস্তা হয়, একটি পার্সি সংস্থা "বি এন ইলিয়াস অ্যান্ড কোম্পানি" বর্তমানে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ তৈরির বরাত পায়। এই জলাধারে জল তোলার জন্য সেই বিদ্যুৎই ব্যবহার করা হত। রাজ্য সরকার ১৯৭২ সালে এই পার্সি সংস্থাকে অধিগ্রহণ করে। পরে সংস্থাটি উঠে যায়। যে জায়গায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল সেটি এখন 'পাওয়ার হাউস' নামে আজও পরিচিত। 

          আগে এই জলাধার থেকেই শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে জল সরবরাহ হত কিন্তু বর্তমানে মিউনিসিপলিটি তার আশপাশ সংলগ্ন কয়েকটি এলাকায় এর জল সরবরাহ করা হয়। এর জল ধারণ ক্ষমতা ৫০,০০০ গ্যালন। কয়েকজন কর্মী বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষনের কাজে ন্যস্ত করা হয়েছে।

          এ সবই ধান ভানতে শিবের গীত। আসলে যা বলার তা হল "জল দান জীবন দান" এই আপ্তবাক্যটিকে সঙ্গে নিয়ে ব্রতী হলে বলতে হয় এই শহরের বুকজুড়ে যে জল ট্যাঙ্কটি পরম আদরে শহরটিকে আগলে রেখেছিল তার আজ দৈর্ঘ্যে বহরে বহুগুণ বেড়েছে বেড়েছে আরও অনেক নতুন নতুন জলট্যাঙ্ক। কিন্তু সেই পুরোনো আজও আমাদের কাছে সমান ভাবে গর্বের ঐতিহ্যের। তার এই বছরই ১০০ বছর পূর্তি। তার নিবিড় স্নেহকে সম্মান জানাতেই মেদিনীপুরবাসীর কাছে এই লেখা। তাছাড়া রাজা নরেন্দ্রলাল খাঁন থেকে বর্তমান পৌরপিতা মাননীয় সৌমেন খানের সময় এই ঐতিহাসিক জলাধারটির ২০২৪শে শতবর্ষ পূর্তির এক অদ্ভুত সমাপতন।

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.