সিঝানঅ থেকে সরস্বতীর পথে
♦আমরা ভাবনা ও বিচারে কি সত্যিই মুক্ত হতে পেরেছি? নাকি যা হচ্ছে তা মনে নেওয়ার চেয়ে মেনে নিতে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমার উদ্দেশ্য কারুর ভাবাবেগে বা বিশ্বাসে আঘাত করা নয়, বরং পরিশীলিত এক মুক্তচিন্তার বাতাবরণে তামাত চুটিয়া নাগপুরবাসীকে শেকল ছিঁড়তে সাহায্য করা।
বেদ/পুরাণের সরস্বতীঃ
সরস্বতী সম্পর্কে জানতে গিয়ে বেদ পুরাণ ঘেঁটেঘুঁটে যা পেলাম তা নিম্নরূপঃ
★ঋগ্বেদ সংহিতায় বিদ্যাদেবী সরস্বতীর মন্ত্রে বলা হয়েছে- ‘পাবকা নঃ সরস্বতী বাজেভির্বাজিনীবতী। যজ্ঞং বষ্টূ ধিয়াবসূঃ॥’ পবিত্রা, অন্নযুক্ত যজ্ঞবিশিষ্টা ও যজ্ঞফলরূপধনদাত্রী সরস্বতী আমাদের অন্নবিশিষ্ট যজ্ঞ কামনা করুন (১/৩/১০)। সরঃ অর্থ জল, সরস্বতীর প্রথম অর্থ নদী। আর্যাবর্তে সরস্বতী নামে যে নদী আছে তাই প্রথমে সরস্বতী দেবী বলে পূজিত হয়েছিলেন।
★গঙ্গা যেমন হিন্দুদের উপাস্যা দেবী, প্রথমে হিন্দুদের পক্ষে সরস্বতী সেরূপ ছিলেন। অচিরে সরস্বতী বাগ্দেবীও হলেন। যাস্ক বলেছেন- ‘তত্র সরস্বতী ইতি এতস্য নদীবদ্বেতাবচ্চ নিগমা ভবন্তি।’ পুরাকালে সরস্বতী নদীতীরে যজ্ঞ সম্পাদন হতো এবং মন্ত্র উচ্চারিত হতো, ক্রমে সে সরস্বতী নদী পবিত্র মন্ত্রের দেবী ও বাগ্দেবী বলে পরিণত হলেন। ঋগ্বেদ-সংহিতার অন্যত্রে আছে- ‘শূচি এবং দেবগণে মধ্যস্থা হোমনিষ্পাদিকা ভারতী, ইলা এবং সরস্বতী (অগ্নির মূর্তিত্রয়) যজ্ঞের উপযুক্তা হয়ে কুশের ওপর উপবেশন করুন (১/১৪২/৯)। ভারতী স্বর্গস্থ বাক, ইলা পৃথিবীস্থ এবং সরস্বতী অন্তরীক্ষের বাক।
বেদে সরস্বতীকে ‘দেবীতমে’, ‘অম্বিতমে’ ও ‘নদীতমে’ অভিধায় আবাহন করা হয়েছে। সম্বোধিত পদে যথাক্রমে দেবীশ্রেষ্ঠা, মাতৃশ্রেষ্ঠা ও নদীশ্রেষ্ঠার অর্থ ধারণ করে। জ্ঞানপীযূষ দানে আমাদের ন্যায় অবোধ, অজ্ঞান, অসহায় সন্তানকে তিনি নিত্য প্রতিপালন করেন, আমাদেরকে তমসা থেকে আলোকদীপ্ত পথে যেতে শিক্ষা দেন, জননীর মতো আমাদের মূক কণ্ঠে ভাষা দেন, তাই তিনি অম্বিতমা।
বেদভাষ্যকার সায়ণাচার্য সরস্বতীর দ্বিবিধা- বিগ্রহবতী দেবীরূপা এবং তোয়াবতী নদীরূপা উল্লেখ করেছেন। বেদে ‘পাবকা’ অর্থে দেবীপক্ষে- যিনি পাপনাশ করে মানবহৃদয়কে জ্ঞানালোকে শুদ্ধ ও নিষ্কলুষ করেন, অর্থাৎ পাপনাশিনী। আর নদীপক্ষে বেদমাতা ‘বাজিনীবতী’ অর্থাৎ যার স্বচ্ছ ও নির্মল জলে অবগাহন করে মানুষ শরীর ও মন শীতল ও শুদ্ধ করে। আবার বাজিনীবতী মানে অন্নদাত্রী।
অন্ন উৎপন্ন হয় বর্ষণের দ্বারা, বর্ষণ হয় মেঘ থেকে, মেঘের সৃষ্টি যজ্ঞ দ্বারা এবং যজ্ঞের দাত্রী সরস্বতী। ঋগ্বেদে ‘যজ্ঞ দধে’ (১/৩/১১)- যজ্ঞের ধারণকর্ত্রী। প্রতি যজ্ঞে মন্ত্র, স্তুতি, অগ্নি ও হবিঃ প্রয়োজন হয়। বাগ্দেতারূপে সরস্বতীই মন্ত্র, জ্যোতিরূপে অগ্নি এবং হবিরূপে অন্নদাত্রী। তার সাহচর্য ছাড়া যজ্ঞ সম্পন্ন হওয়া অসম্ভব।
বৈদিক স্তুতির মধ্যে বেদমাতার দুটি রূপ- ‘দেবী’ ও ‘নদী’ প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন পুরাণ মতেঃ
★ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে তিনি নারায়ণের স্ত্রী। যাঁর সতীন আবার গঙ্গা। গঙ্গা তো আবার মহাদেবের উপপত্নী। তাহলে বিদ্যার দেবী মহেশ্বরের কন্যা হন কি করে?
★ ভাগবত পুরাণে আবার পাওয়া যায় সরস্বতীর জন্মের অন্য বৃত্তান্ত। দেবী আদ্যা প্রকৃতির একটি অংশ হিসেবে জন্ম হয় দেবী সরস্বতীর। শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে ২ দৈত্য একবার মর্ত্য ও স্বর্গে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে দেবলোক ও ভূলোককে রক্ষা করতে দেবী দুর্গার শরীর থেকে জন্ম হয় আরেক দেবী প্রকৃতির। তিনি কৌষিকী। তিনিই সরস্বতী।
★বায়ুপুরাণ আবার জানায় অন্য তথ্য। দেবাদিদেব মহাদেব একবার পাপে পরিপূর্ণ পৃথিবীকে ধ্বংস করবেন বলে স্থির করেন। তাঁর প্রবল তাণ্ডবে জগতের সৃষ্টি সম্পূর্ণভাবে বিনাশ হয়ে যায়। ধ্বংসের পরেই শুরু হয় নতুন করে সৃষ্টির বীজ বপনের প্রক্রিয়া। সেই সময় অনেক ভেবে সৃষ্টির দায়িত্ব পালনকারী প্রজাপিতা ব্রহ্মা তাঁর অন্তর থেকে জন্ম দেন এক দেবীর। নতুন জগতকে জ্ঞান, শিল্প ও সৌন্দর্যের আলো দিয়ে ভরিয়ে তোলাই ছিল সেই দেবীর কাজ। তিনি পরে জগতে বন্দিত হন দেবী সরস্বতীরূপে।
★পদ্মপুরাণ মতে, সরস্বতী দক্ষরাজের কন্যা, কাশ্যপ মুনির পত্নী।
★★দক্ষিণ ভারতে ময়ূরবাহন সরস্বতীর যে মূর্তি পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে কার্ত্তিক পত্নী কৌমারীর আশ্চর্য মিল। তাহলে সেদিক থেকে দেবী সরস্বতী শিবের পুত্রবধূও বটে।
মোটকথা আমি বেজাই কনফিউজড।
♦গোটাসেদ্ধ ও শীতলষষ্ঠীঃ
মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আরাধনা করা হয় বাগ দেবীর। আর তার পরেরদিন শীতল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন বাঙালি মেয়েরা। বাড়ির সব মেয়ে-বৌরা কনিষ্ঠ সন্তানকে কোলে নিয়ে এক সঙ্গে ব্রত কথা শোনে। ব্রত পালনের পর হলুদ আর দইয়ের ফোঁটা পড়তে হয় সকলের কপালে। দুপুরে শীতল ষষ্ঠীর ভোগ- গোটা সিদ্ধ আর কুলের অম্বল। গোটা মুগ, বকড়াই, গোটা শিম, গোটা আলু , রাঙা আলু, কুলিবেগুন, কড়াইশুঁটি , শীষওয়ালা পালংশাক নুন আর লঙ্কা দিয়ে সিদ্ধ ।
এর পিছনে একটা বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক ব্যাখ্যা রয়েছে। শীত শেষে বসন্ত ঋতুর আগমন। এ সময় শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু হয়। এই সকল রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই সব টোটকার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সুচারু কোনো গবেষণা হয়েছে কিনা জানা নেই, তবে সন্দেহ হয়, এটাই মুখ্য কারণ। আর গোটা শস্য রান্নার ফলে পরিবারকে সামগ্রিকভাবে একত্রিত রাখার প্রয়াস রয়েছে।
♦ সিঝান/সিঝানু পরবঃ
এবার আসব বৃহৎ চুটিয়া নাগপুরের একটি প্রায় অবলুপ্ত একটি উৎসব সিঝান/ সিঝানু পরবে। এটি মূলত প্রতিপালন করেন আদিবাসী কুড়মিরা। দুদিনের পরব। প্রথম দিন সিঝান পর্যায় ও দ্বিতীয়দিন বাসীখাদ্য ভক্ষণের এক চিরাচরিত প্রথা। দুটি নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু নাতিদীর্ঘ আলোচনাই পাঠকদের কাছে শ্রেয়, নাহলে ধৈর্যচ্যুতি অবশ্যম্ভাবি। উপরিউক্ত দুটো অনুষ্ঠিত প্রথার অনুরূপ এই পরবও মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে হয়।
সিঝান শব্দটির ব্যুৎপত্তি ও ব্যাখা মোটামুটি দুটি গ্রহণযোগ্য। এটি একটি আদিম শব্দ। যার থেকে তৎসম শব্দ 'সিদ্ধ'-র সৃষ্টি। কুড়মালিতে "সিঝান" শব্দটি একটি নামধাতু হিসেবে ব্যবহার হয়। মানে সেদ্ধ করা। আর দ্বিতীয়টি হল সুঝানু>সুঝানঅ>সুঝানঅ। সুঝ্ শব্দটিও একটি প্রাচীন কুড়মালি শব্দ। বর্তমানে আমরা "বুঝ-সুঝ" বা বুঝা-সুঝা শব্দবন্ধ কখনও সখনও ব্যবহার করি বৈকি। হিন্দিতে "সুঝাব" শব্দের অর্থ হল "পরামর্শ"। আর এই পরামর্শ আদান-প্রদানের মাধ্যমই আদিবাসী কুড়মিজনজাতির মানুষের কাছে বেশি গুরুত্বের। অমূল্য। গুরু এখানে প্রকৃত অর্থেই friend-philosopher & guide। গুরু সবাই, শিক্ষার্থীও সবাই। ছোট, বড়, লিঙ্গের ঊর্ধে হল শিক্ষা। এবং তা হবে আদান প্রদানের মাধ্যমে। যে যতটুকু অর্জন করেছে সে ততটুকু একজন নবিশকে শিক্ষা বিলিয়ে দেবে। বিদ্যা আর শিক্ষার মধ্যে সুক্ষ্ম অথবা স্থুল যাই বলা হোক একটা পার্থক্য থেকেই যায়। সরস্বতী বিদ্যার দেবী(বিদ্যাং দেহি, শিক্ষাং দেহি বলা হয় না) আর কুড়মি জনজাতির মানুষের কাছে সিঝান হল শিক্ষার সিঁড়ি বেয়ে বিদ্যার পারঙ্গমতা বা সিদ্ধি লাভের নাম। শিক্ষা লাভ করতে হলে পরামর্শ, খোলা বিতর্কের আদান প্রদানে হাওয়া চলাচল অত্যন্ত জরুরী। আর বিদ্যা হল সেই শিক্ষার হাতে কলমে প্রয়োগের পারদর্শিতা। এই সিঝান পরবের মাধ্যমে এই জনজাতির সব মানুষ এই বছরের আখ্যান যাতরার পরের পরবই শিক্ষার সূচনার মাধ্যমে বিদ্যায় অনুপ্রবেশের পর্ব। অর্থাৎ যাকে আমরা বাংলা হাতে-খড়ি বলে জানি। এই দিন শিক্ষা(theoritical)-শুভ সূচনা। আর এর প্রয়োগপ্রণালী(practical)-তে অনুপ্রবেশ ঘটবে রহইন ও করম পরবের মধ্যে দিয়ে।
কুড়মি জনজাতি মূলত কৃষিজীবি ও জঙ্গল নির্ভর। তাই তাদের শিক্ষা ও বিদ্যা জল, জঙ্গল ও জমিনকে নিয়েই। এইদিন শারীরিক কসরতের সাথে সাথে ধনুর্বিদ্যা, লাঠিচালনা ইত্যাদির নবীশদের যেভাবে উৎসাহী করে তোলা হয় তেমনই বিগত বছরগুলি থেকে কে কিভাবে কুষিকাজের আরও নতুনদিশার উদ্ভাবনের পরামর্শের আদান-প্রদানও হয় এবং পরেরদিন বাসীখাওয়ার খেয়ে ভেষজ শিক্ষার একটা সোপান নির্দেশিত হয় এই দিনটিতে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে --বাসী বা পান্তাভাতেরও পুষ্টিগুণ কম নয়। বাসীভাতে পটাসিয়াম ক্যালসিয়াম ও আয়রণ থাকে। শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষজনের কাছে যা চটজলদি কর্মক্ষমতা বাড়ানোর একটি একটি অমোঘ সাধন। রক্তস্বল্পতার জন্য বাসিভাত প্রাথমিক প্রক্রিয়ার একটি অঙ্গ। ভাতে চার থেকে আট প্রহর জল ঢেলে রাখলে তা ফাইটিক অ্যাসিড জলের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে( হাইড্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায়)ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়, যা মাংসপেশিতে টান রোধে অত্যন্ত উপযোগী। গরমের সময় গ্রামবাংলায় এটি একটি অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য এবং রৌদ্র/গরমপ্রতিরোধকও।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো কুড়মি জনগোষ্ঠির মানুষ মূর্তি পুজোয় বিশ্বাসী নয় বরং প্রকৃতি পুজোতেই তাদের আস্থা আজও অটুট। তাই সিঝান পরবে তাদের শিক্ষার সোপান বেয়ে বিদ্যায় পারঙ্গমতা লাভের যে পরম্পরাগত( ট্রাডিশনাল) শিক্ষা আদান-প্রদানের নাম। প্রচীনকালে এই শিক্ষা যেহেতু পঁথিবদ্ধ ছিল না তাই এই পদ্ধতিই ছিল প্রচলিত। পরবর্তীতে পঁথিপুজার প্রচলন আসে পঁথি/নথির হাত ধরে। পুঁথি শব্দটিও পঁথির হাত ধরে।
আমি আগের কয়েকটি লেখাতেও লিখেছি বাংলার সংস্কৃতি মিশ্র সংস্কৃতি( সর্বজন বিদীত)। কিন্তু এর বেশির ভাগ সংস্কৃতি উপাচার পদ্ধতি প্রাচীন বৈদিকরীতির বাইরে। তান্ত্রিকতা রীতির হাত ধরে বাংলার যাবতীয় দেবীর আগমন। আর তন্ত্রসাধনার সামগ্রিক সূচনার ইতিহাস বলবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির কথা। আর তারই মধ্যে এই সরস্বতী পুজোও। কারণ যে মন্ত্রটি সরস্বতী বন্দনা হিসের উচ্চারিত হয় সেটি কোনও বেদভিত্তিক নয়--
"ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।"
এই মন্ত্রের উৎস আমার জানা নাই। এই মন্ত্র কোনও বটতলার ব্রতকথার অংশ কিনা বলতে অক্ষম। বাংলা ব্যতীত এই মন্ত্র অন্য কোথাও উচ্চারিত হয় না।
আর যাঁহাতক গোটাসেদ্ধ আর শীতল ষষ্ঠীর কথা! সে ক্ষেত্রে বলব বাংলার সংস্কৃতি দুটি ভাগে ভাগ হয়। একটি পুরাণকেন্দ্রিক জাষ্টিফিকেশনে যা এলিট সম্প্রদায়ে বেশি লক্ষণীয় আর অপরটি সুদীর্ঘকাল থেকে চলে আসা জীবনশৈলির নেগাচারের একটি অক্ষম অপটু ও অর্ধগৃহীত রীতি-রেওয়াজের প্রয়োগমাত্র।
দেবী ব্রিগিডের রূপান্তর
এরকমই আয়ারল্যাণ্ড ও স্কটল্যাণ্ডে আদিম মিথোলজি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী ছিলেন ব্রিগিড। এবং বলাই বাহুল্য এই দেবী ব্রিগিডের পুজাও হত বসন্তেই। খুব বেশিদিন নয়, মাত্র নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে। খ্রীষ্টধর্মের বিস্তারের ফলে সেই প্রাচীন আদিবাসী বিদ্যার উপাস্যা ব্রিগিড হয়ে উঠল সেন্ট ব্রিগিড। এখানেই শেষ নয়, তারা তাদের সাপোর্টিভ ডক্যোমেন্টের নিরীখে দেবী ব্রিগিডের আবার বোনও জন্মে গ্যালো। তাই ব্রিগিডের দুটো ধারা বিদীত হল ব্রিগিড দ্য হিলার ও ব্রিগিড দ্য স্মিথ। ফলে প্রাচীন আদিবাসীদের রুক্ষ্ম-সুক্ষ্ম দেবী হয়ে উঠল সম্পুর্ণ ঝাঁ চকচকে এলিট দু দুটি জ্ঞানের দেবী ব্রিগিড।ব্রিগিড দ্য হিলার ও ব্রিগিড দ্য স্মিথ। হায় রে আদিবাসীদের কপাল। "ছিল বেড়াল হয়ে গ্যালো রুমাল।"
এখন পাঠক বিচার করুন এই সংস্কৃতি ও উপাচার পদ্ধতি কোথাও গিয়ে টোকা, সংমিশ্রণ নাকি আগ্রাসন!!